দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে বিভিন্ন সুরা, দরুদ, তাশাহুদ, ও দোয়া পড়া হয়। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া হলো দোয়া কুনুত। এটি বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর পড়ে থাকেন মুসলিমগণ।
দোয়া কুনুত (আরবি):
اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা, ওয়ানু’মিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা ওয়ালা নাক ফুরুকা, ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা।
আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু ওয়ালাকা নুছল্লি, ওয়ানাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া; ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আজাবাকা; ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মুলহিক্।
অর্থ:
হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামাজ পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই নির্ধারিত।
দোয়া কুনুত পড়ার নিয়ম:
হযরত আসিমুল আহওয়াল (রহ.) বলেন, ‘আমি হযরত আনাস (রা.)-কে নামাজে দোয়া কুনুত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, হ্যাঁ, নামাজে দোয়া কুনুত পড়বে। আমি বললাম, রুকুর আগে না পরে? তিনি বললেন, রুকুর আগে। আমি বললাম, অমুক আমাকে আপনার সম্পর্কে খবর দিয়েছে যে, আপনি বলেছেন রুকুর পরে। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) রুকুর পরে মাত্র এক মাস দোয়া কুনুত পড়েছেন।’ (বুখারি ৩৭৯৬)
দোয়া কুনুতের ফজিলত:
১. এটি মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যম।
২. এটি নামাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া, যা রাসুল (সা.) নিজে পড়েছেন।
৩. এটি মুসলিমদের জন্য রহমত ও কল্যাণ বয়ে আনে।