ঢাকা | বঙ্গাব্দ

১৫ মাসে গার্মেন্টস খাতে নতুন দিগন্ত—১২৮টি কারখানা স্থাপন


  • নিউজ আপডেট : 20-04-2025 06:13 AM ইং প্রকাশ: 20-04-2025 ইং 1702 বার পঠিত

ছবির ক্যাপশন:
ad home 3

চ্যালেঞ্জের মাঝেও তৈরি পোশাকশিল্পে নতুন বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান হলেও বন্ধ হচ্ছে কারখানাও

অর্থনৈতিক সংকট, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মতো নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও থেমে নেই দেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প। একদিকে নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে কিছু কারখানা বন্ধও হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৫ মাসে সংস্থাটির নতুন সদস্যপদ নিয়েছে ১২৮টি পোশাক কারখানা। সবগুলো কারখানা পূর্ণ উৎপাদনে গেলে প্রায় ৭৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সময়ে পুরনো কিছু কারখানাও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন বিনিয়োগ করেছে।

তবে এ সময়েই বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ১১৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানা বন্ধের ফলে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৯৬ হাজার শ্রমিক, যাদের মধ্যে ৭৬ হাজারের বেশি শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন গত আগস্টের পর।

তবুও রপ্তানির ধারা ঊর্ধ্বমুখী। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ২৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৮৪ শতাংশ বেশি।

নতুন কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে এ জেড কম্পোজিট, একেএইচ আউটওয়্যার, নেক্সটন, সুপ্রিম আউটফিট, সিটেক ফ্যাশন, এলএসএ অ্যাপারেলস ও স্প্যারো গ্রিনটেক। এই ১২৮ কারখানার মধ্যে ১৮টির শ্রমিকসংখ্যা এক হাজারের বেশি হবে বলে বিজিএমইএর তথ্য।

গাজীপুরে নতুন কারখানা চালু করেছে এ জেড কম্পোজিট। বর্তমানে সেখানে ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন, তবে ঈদুল আজহার পর পুরোদমে উৎপাদন শুরু হলে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৭০০–৮০০ জনে।

১৯৮৪ সাল থেকে চালু স্প্যারো গ্রুপ নতুন ‘স্প্যারো গ্রিনটেক’ কারখানা চালু করেছে গত সেপ্টেম্বরে। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ হাজার ৮০০ জনের। স্প্যারো গ্রুপের মোট কর্মী এখন ১৮ হাজার। গত বছরে তাদের রপ্তানি ছিল ৩০ কোটি ডলার।

তবে অনিশ্চয়তার ছায়াও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি এবং বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতার কারণে নতুন কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্তে কিছুটা সতর্কতা দেখাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “বড় ও মাঝারি কারখানাগুলো প্রযুক্তি ও এআইতে বিনিয়োগ করছে। তবে ছোট কারখানাগুলো উচ্চ ব্যয় সামলাতে না পেরে টিকে থাকতে পারছে না।”

এদিকে বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের ২৪টি, কেয়া গ্রুপের ৪টি, টিএনজেড, ভারগো এমএইচ, ওডিশ ক্রাফটসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। বেক্সিমকোর ১৪টি কারখানা ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি একযোগে বন্ধ হয়, যেখানে কাজ করতেন প্রায় ৩৩ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী। এদের পাওনা মেটাতে সরকার দিয়েছে ৫২৫ কোটি টাকা, যদিও অনেক শ্রমিক এখনো পাওনা বুঝে পাননি।

বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “নতুন কারখানা খোলা ও কিছু কারখানা বন্ধ হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না ফিরলে অনেক উদ্যোক্তাই বিনিয়োগে সতর্ক থাকবেন।”

কমেন্ট বক্তব্য
নিশানা উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ঢাকার সড়কে নেই কোনো অভিভাবক!

নিশানা উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ঢাকার সড়কে নেই কোনো অভিভাবক!