ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নতুন ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণ গেল আরও ৩৯ ফিলিস্তিনির


  • নিউজ আপডেট : 22-04-2025 06:55 AM ইং প্রকাশ: 22-04-2025 ইং 1702 বার পঠিত

ছবির ক্যাপশন:
ad home 3

গাজায় একদিনেই নিহত ৩৯ ফিলিস্তিনি, মোট প্রাণহানি ছাড়াল ৫১ হাজার

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বিমান ও স্থল হামলায় একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৯ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। এই নিয়ে গাজায় চলমান সংঘাতে মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৫১ হাজার ২৫০ জনে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদন জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলায় আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৩১ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা এখনো অনেক মরদেহের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। প্রতিটি দিন যেন সেখানে এক নতুন বিভীষিকার চিত্র তুলে ধরছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে হামাসের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর আবারও গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই নতুন দফায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৮৬৪ জন, আহত প্রায় ৪ হাজার ৯০০ জন। এই ধারাবাহিক হামলা যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে—যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে বাস্তুহীন হয়ে পড়েছেন। খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের জন্য চলছে মরিয়া লড়াই। ইতিমধ্যেই গাজার প্রায় ৬০ শতাংশ ভবন, হাসপাতাল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

গত বছরের নভেম্বরে গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

গাজায় চলমান এই মানবিক বিপর্যয় এখন কেবল একটি ভৌগোলিক সংকট নয়—এটি বিশ্ব বিবেকের জন্য এক গভীর এবং কঠিন পরীক্ষা। যুদ্ধবিরতির পরও চলমান হামলা দেখিয়ে দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ও মানবিক হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

কমেন্ট বক্তব্য
নিশানা উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ঢাকার সড়কে নেই কোনো অভিভাবক!

নিশানা উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ঢাকার সড়কে নেই কোনো অভিভাবক!