ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সম্মানিত শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত: মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে


  • নিউজ আপডেট : 20-05-2025 02:22 AM ইং প্রকাশ: 20-05-2025 ইং 1702 বার পঠিত

Monibul Sir ছবির ক্যাপশন: Monibul Sir
ad home 3

সম্মানিত শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত: মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে

ঘটনার মূল পটভূমি:
 রাজারহাট, কুড়িগ্রাম | পড়াশোনা সংবাদ | 📅২০ মে ২০২৫

একজন শিক্ষকের কণ্ঠরোধ করা কি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মানদণ্ড হতে পারে? রাজারহাট উপজেলার আবুল কাশেম সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিয় শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে—শুধুমাত্র ফেসবুকে একটি মতামত প্রকাশের কারণে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান চন্দ্র রায় পোদ্দারের বক্তব্যের প্রতিবাদে স্যার তার ব্যক্তিগত মতামত ফেসবুকে প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি বলেন—শিক্ষকতা পেশাকে অবমূল্যায়ন করা অনুচিত। সেই পোস্টকে কেন্দ্র করেই ৪ মাস পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়, যা শিক্ষক সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।

২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, "শিক্ষকদের পেশাকে অর্থমূল্যে বিবেচনা করা যাবে না। কেউ যদি মনে করেন তার পোষাচ্ছে না, তাহলে প্রাথমিকে না থেকে অন্য পেশায় চলে যেতে পারেন।"

এই মন্তব্যে শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারই প্রতিক্রিয়ায় মনিবুল হক স্যার ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি পোস্ট দেন। কিন্তু সেই পোস্টকে ‘সরকারি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী’ দাবি করে, কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়েই তাকে বরখাস্ত করা হয়।

মনিবুল হক বসুনিয়া একজন সম্মানিত শিক্ষক, যিনি বছরের পর বছর শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক বক্তৃতা দেননি, কারও ব্যক্তিগত অবমাননা করেননি—শুধু একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন।

আমরা বিশ্বাস করি, একজন শিক্ষক কেবল পাঠদাতা নন, তিনি সমাজের পথপ্রদর্শকও। তার মতামত দেওয়ার অধিকার থাকা উচিত—সংবিধানের আলোকে এবং মানবাধিকার বিবেচনায়।

আমরা 'পড়াশোনা সংবাদ' পরিবার থেকে জোর দাবি জানাই:

মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়ার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করুন

📝 মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষা হোক, ভয়ের সংস্কৃতি নয়।📝 

একজন শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন না হোক—তার কণ্ঠে ন্যায়ের জোর থাকুক।

আপনিও যদি মনে করেন শিক্ষক মনিবুল হক স্যারের প্রতি অবিচার হয়েছে, তবে এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন এবং তার পক্ষে দাঁড়ান।


কমেন্ট বক্তব্য
শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যঃ আইসিটি প্রভাষকদের কলেজে ১৫০ পদের বিপরীতে পাস ১৪০০ জন। সমাধানই বা কি?

শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যঃ আইসিটি প্রভাষকদের কলেজে ১৫০ পদের বিপরীতে পাস ১৪০০ জন। সমাধানই বা কি?